বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
কালের খবর ডেস্ক :
ভারতের উত্তর ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ডাকিনী বিদ্যাচর্চার অভিযোগে দুই নারীকে হেনস্তা করার দায়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৬৫ বছর বয়সী ওই নারী ও তার কন্যাকে নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটানো হয়। তাদের মানুষের বিষ্ঠা খেতে বাধ্য করা হয়েছে।
হেনস্তার শিকার কন্যা বলেন, গ্রামবাসী তাদের বিরুদ্ধে রোগ ছড়ানোর অভিযোগ এনেছেন।
ডাকিনী বিদ্যাচর্চার অভিযোগে ভারতে প্রায় নারীদের হেনস্তা কিংবা হত্যার শিকার হতে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই হামলার পেছনে কুসংস্কারাচ্ছন্ন বিশ্বাস কাজ করছে। কিন্তু কখনও কখনও বিধবা নারীদের তাদের বসতবাড়ি থেকে বিতাড়িত করতে এ হামলা চালানো হয়।
ওই নারী বলেন, বৃহস্পতিবার তার প্রতিবেশীরা হঠাৎ করে তাদের দরজায় জোরে ধাক্কা দিতে শুরু করে। তারা বলছেন- আমরা নাকি ডাকিনী বিদ্যাচর্চা করছি।
পরিবারের এক সদস্যের মৃত্যুর পর ওই নারী স্থানীয় হাতুড়ে ডাক্টারের কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর জন্য ওই ডাক্টার তাদের দায়ী করেন।
মেয়েটি বলেন, পরের দিন গ্রামবাসী আমাদের শাস্তি দিয়েছে। ডাকিনী বিদ্যাচর্চার কথা আমরা অস্বীকার করার পরও আমাদের জোর করে দাহ করার জায়গা নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে লোকজন আমাদের মুখের ওপর মলমূত্র ত্যাগ করে এবং সেগুলো খেতে আমাদের বাধ্য করে।
এর পর তাদের চুল কেটে নগ্ন করে গ্রামজুড়ে হাঁটানো হয়েছে। তখন তাদের পিছু পিছু গ্রামবাসীরাও হাঁটছিলেন।
তারা বলেন, আমরা ব্যাপক ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু কেউ আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেননি।
কালের খবর/২০/২/১৮